,

নবীগঞ্জ সদর ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে অনিয়ম ও ১০ টাকা কেজির চালের তালিকায় এবং প্রধান মন্ত্রীর ঈদ উপহার আড়াই হাজার টাকার তালিকায় গরীব মানুষের নাম বাদ দিয়ে নিজের পরিবারের ৬ সদস্যের নাম অর্ন্তরভূক্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন বরাবর গত মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সরিষপুর গ্রামের মোঃ শাহ আলম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের কারণে অসহায় কর্মহীন গরীব মানুষকে আড়াই হাজার টাকা করে ঈদ উপহার এবং গরীব অসহায় মানুষকে ১০ টাকা কেজি চাল দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম গরীব অসহায় পরিবারের তালিকায় স্বজনপ্রীতি করে তালিকায় তার পরিবারের ৬ জনের নাম অন্তর্ভূক্ত করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে মেম্বারের আপন ভাই মইনুল ইসলাম ঘোরী, আশরাফুল ইসলাম ঘোরী, তাজুল ইসলাম ঘোরী, ফয়জুল ইসলাম ঘোরী, আপন ভাতিজা ফয়সল ইসলাম ঘোরী, ছেলে মাহমুদুল হোসাইন। এছাড়াও তার শালিকা শাহ রুমেনা আক্তার (পেশায় একজন নার্স)। রুমেনা তার স্বামীর বাড়ি দৌলতপুরে বসবাস করেন। রুমেনার নামের চাল মেম্বার নজরুল ইসলাম নিজেই উত্তোলন করেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, সদর ইউনিয়নের সরিষপুর গ্রামের গরীব অসহায় আব্দুর রেজাক একটি সৌর বিদ্যুতের জন্য মেম্বার নজরুল ইসলামের কাছে আবেদন করেছিলেন কিন্তু মেম্বার তাতে টাকা দাবী করেন। আব্দুর রেজাক টাকা দিতে না পারায় তাকে সৌর বিদ্যুৎ না দিয়ে চুনু মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে টাকার বিনিময়ে সৌর বিদ্যুৎ দেন মেম্বার নজরুল ইসলাম। এছাড়াও তার আপন ভাই ফয়জুল ইসলামকে সৌর বিদ্যুৎ দিয়েছেন।
মেম্বার নজরুল ইসলাম এলাকার শতাধিক মানুষের কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা দামের ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কথা বলে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়। পরে ঘর না পেয়ে মেম্বারের কাছে তারা টাকা ফেরৎ চাইলে তাদেরকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেন মেম্বার নজরুল। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর